মনস্তত্ত্ব বিজ্ঞানের অজানা 20টি তথ্য যা আপনাকে অবাক করার দেবে
মানব জীবন বড়ই বৈচিত্র্যময়, আশা করি আমরা সকলেই এর সাথে একমত হবো। সৃষ্টির আদিকাল থেকে সময়ের সাথে সাথে প্রতিনিয়ত অভিব্যক্তি ও অভিযোজনের সাথে সাথে মানব জাতির এই বিচিত্র ভাবধারা ক্রমাগত বিকশিত হয়ে চলেছে।
চার্লস ডারউইনের “The Struggle for Existence” গ্রন্থে মানবজাতির এই স্বভাব চরিত্র ও বেঁচে থাকার জন্য বিবর্তনের মতবাদকে যুক্তি সহকারে ব্যাখ্যা করা আছে।
আমাদের মনে প্রায়শই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যে এক এক জন মানুষের মনোভাব এক এক রকম কেন?
কেনই বা কোনো গোষ্ঠী বা জাতি বিশেষে তার বৈচিত্র্য সুস্পষ্ট?
এ সবের পিছনে রয়েছে Human Psychology অর্থাৎ মানুষের মনস্তত্ত্ব যা প্রতিনিয়িত আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে তুলেছে।
আসুন দেখে নেওয়া যাক মানব জীবনের সেরা ২০ টি অজানা গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলি যা নিঃসন্দেহে আপনাকে এক নতুন ভাবনার আলো দেখাবে।
১. আপনি যদি আপনার লক্ষ্য প্রচার করতে থাকেন, তাহলে আপনি তা পূরণে অসফল হবেন।
আপনি নিশ্চয়ই জীবনে বিশেষ কিছু লক্ষ্য পূরণের জন্য পরিশ্রম করে চলেন। কিন্তু জানেন কি পরীক্ষা করে জানা গেছে আপনার লক্ষ্যর গোপনীয়তা রক্ষা আপনাকে লক্ষ্যপূরনের সম্ভবনা বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে।
আপনার উচিত নিজের মনের ভিতর অভীষ্টপূরণের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলা। কথায় আছে “ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি“- তাই যতক্ষন না আপনি লক্ষ্য পূরণ সার্থক হচ্ছেন ততক্ষণ তা প্রচার করা উচিত নয়।



২. বিকল্প পরিকল্পনার উপর বিশেষ মনযোগ আপনাকে মূল লক্ষ্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
এই অনিশ্চয়তা ও অতি প্রতিযোগিতামূলক সমাজে আমরা অনেক সময়ই মূল লক্ষ্যের সমান্তরাল এক বিকল্প পরিকল্পনা বেছে রাখি; অর্থাৎ প্ল্যান A সফল না হলে যাতে হা হুতাশ না করে প্ল্যান B এর পরিকল্পনা করে রাখি, যেটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
কিন্তু মনবিদ বিজ্ঞানীদের মতে বেশিরভাগ সময় প্ল্যান B প্রতি বেশি মনোনিবেশ এর ফলে আমরা মূল লক্ষ্যপূরণ করতে অসফল হই, অর্থাৎ প্ল্যান A পূরণের সুযোগ কমে যায়।
৩. সর্বদা সৎ প্রচেষ্টাবান মানুষদের সঙ্গে থাকবার চেষ্টা করবেন।
আমাদের চারপাশে বহু মানুষ বাস করেন, এদের মধ্যে এক দল সর্বদা আপনাকে সৎ পরামর্শ ও সাহস যোগানের মাধ্যমে জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে আবার আর এক দল আপনাকে সর্বদা পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
তাই সর্বদা চেষ্টা করবেন সৎ উদ্দেশ্যবান ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকতে। কথায় আছে – সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।



৪. আমাদের স্বপ্ন আসলে আমাদের বাস্তবের অতি চাওয়া ও না পাওয়ার প্রতিফলন।
প্রতিনিয়ত আমরা এমন অনেক কিছু জিনিস মন দিয়ে গভীর ভাবে চাই যা আমরা পাই না আবার আমাদের জীবনে এমন কাছের মানুষ থাকেন যাদের কথা আমরা সর্বদা ভেবে চলি।
খেয়াল করে দেখবেন আমাদের স্বপ্নের উৎস কিন্তু এগুলিই। অপর দিকে কোনো খারাপ লাগা বা তীব্র অপছন্দের মানুষরাই আমাদের স্বপ্নে এসে ভিড় করে।
মনস্তাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের স্বপ্নের ৭০% কোনো গোপন বার্তা প্রেরণ করে যা আমাদের সচেতন চিন্তা ভাবনার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ও যুক্তিযুক্ত।
৫. যে ব্যক্তি বিদ্রুপ ভালো বুঝতে পারেন তিনি প্রকৃত মানুষ চেনেন।
আমরা জানি মানুষের মন ভীষণ জটিল এবং বেশিরভাগ মানুষেরই প্রকৃত চিন্তধারার সাথে মুখের কথার বিস্তর ফারাক থাকে।
তাই একজন মানুষের প্রকৃত রূপ বোঝা সত্যি বড় কষ্টকর ব্যাপার। কিন্তু যিনি মানুষের বিদ্রুপ, ব্যঙ্গর সঠিক মানে ধরতে পারেন তিনি প্রকৃত মানুষ চেনেন।
৬. তর্কে তর্ক বাড়ে।
হ্যাঁ ঠিক তাই, আপনি হয়তো খেয়াল করে থাকবেন দুজন মানুষের মধ্যে বিবাদ লাগলে একে অপরের উপর তর্কের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং নিজেকে সঠিক প্রমান করার জন্য অযৌক্তিক কথার সাহায্য নিতে পিছ পা হন না।
এমত অবস্থায় শান্তি বজায় রেখে চুপ করে যাওয়াটাই শ্রেয়। গবেষণার দ্বারা জানা গেছে ৮৩% ক্ষেত্রে সঠিক ব্যক্তি সর্বদা চুপ করে গিয়ে তর্কের অবসান ঘটান।
৭. কোন ধন্যবাদ সূচক শব্দ বা মার্জিত ব্যবহার আমাদের ব্যক্তিত্বকে বড় করে দেয়।
আমরা অনেক সময়ই ভাবি কারোর কাছে ক্ষমা চাওয়া বা অল্প সাহায্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপন আমাদেরকে ছোট করে দেয়।
কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক বিদ্যা অনুযায়ী এই মার্জিত স্বভাবের প্রদর্শন ব্যক্তিস্বত্তার অনন্য মাত্রা প্রদান করে।
বিনয়ী নম্র ব্যবহার ও অপরকে সম্মান প্রদান আপনাকে আরও বেশি করে সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে।
৮. ভালোবাসার মানুষকে মিথ্যা বলতে বাঁধে।
আপনি হয়তো খেয়াল করে দেখবেন, যাকে আপনি মন দিয়ে ভালোবাসেন তাঁর সামনে মিথ্যা কথা বলতে আপনার বিবেকে বাঁধে।
যদিও বা কোনো পরিস্থিতির চাপে মিথ্যা বলেও ফেলেন আপনি ভিতর ভিতর এক পাপ বোধে ভোগেন। এর একটাই কারণ আমাদের জীবনের যে কপটতা ভান তা সব বহিঃজগতের জন্য।
ভালবাসার মানুষকে আমরা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মনে করি তাই নিজেকে মিথ্যা বলতে যেমন আটকায় তেমনভাবেই একই অনুভূতি হয় তাদের কাছে সত্য গোপন করলে।



৯. প্রকৃত মিথ্যবাদীরা খুব সহজেই মিথ্যা কথা ধরতে পারেন।
খেয়াল করে দেখবেন যিনি কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলেন তিনি খুব সহজেই অন্যের কোন কথা সত্য নাকি মিথ্যা তা বিচার করতে পারেন।
এর পিছনে মূল কারণটি হলো মিথ্যবাদীরা সর্বদাই নিজেদের মতন করে অন্যকে ভাবেন তাই অন্যের সত্যি কথার মধ্যেও তাঁরা মিথ্যা খুঁজে পান।
১০. আমরা সর্বদা আমাদের জীবনের মানানসই গান শুনি।
সঙ্গীত মানব জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা আমাদের ভালো লাগা বা খারাপ লাগার অভিব্যক্তি প্রকাশের মাধ্যম।
নানা ভাষায় নানা সুরে অজস্র সঙ্গীত সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রতিটি গানেরই এক নিজস্ব প্রেক্ষাপট ও ভঙ্গিমা আছে।
আমরা সাধারণত সেই গানগুলি শুনতে পছন্দ করি যেগুলি আমাদের জীবনের সাথে মানানসই। যে গানের কথা বা সুর আমাদের অবস্থাকে সঠিকভাবে প্রকাশ করে, সাধারণত সেগুলি আমাদের খুব প্রিয় হয়।
১১. মানুষ অভ্যাসের দাস।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক কিছু জিনিস আছে যা আমরা রপ্ত করতে চাই কিন্তু সর্বদা সেই কার্যে সফল হই না।
ক্রমাগত অভ্যাস ও অনুশীলন তা আমাদেরকে লাভ করতে সাহায্য করে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গেছে কোন জিনিস যদি একটানা ২১ দিন সফলভাবে করা যায় তাহলে তা মানুষের অভ্যাস পরিণত হয়।
এই গবেষণার ফলকে কাজে লাগিয়ে বহু মানুষকে ধূমপান, মদ্যপান থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
১২. যে ব্যক্তি সকলের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন প্রকৃতপক্ষে তিনি খুব একা।
আমাদের চারপাশে বহু এমন মানুষ আছেন যাঁরা অন্যের ভালো চান এবং অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে তাঁরা বদ্ধ পরিকর।
কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় সেই সমস্ত মানুষরা আসলে জীবনে খুব একা এবং অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
এইরকম চরিত্রের বৈপরীত্য নিঃসন্দেহে আপনার মনকে ভাবুক করে তোলে।
কিন্তু এর পিছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ যা একজন দুঃখী মানুষকে অন্যের প্রকৃত কষ্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তাই সে অন্যের জীবন সুখময় করে নিজের জীবনে তার প্রতিফলন দেখতে পায়।
১৩. বুদ্ধিমান মানুষের বন্ধুর সংখ্যা কম হয়।
আমরা জীবনে বহু মানুষের সাথে মেলামেশা করি, মনের মিল হলে তাকে বন্ধু বলে ভেবে বসি। কিন্তু দুঃসময়ে বোঝা যায় আমাদের প্রকৃত বন্ধু কে?
সমীক্ষায় দেখা গেছে বুদ্ধিমান মানুষরা অত্যন্ত বিচক্ষণতার দ্বারা বন্ধু নির্বাচন করেন, তাই তাঁদের জীবনে বন্ধুর সংখ্যা কমই হয়।
১৪. সরল মানুষের রাগ বেশি।
শুনতে খুব অবাক হলেও এটাই সত্যি। আমাদের চারপাশে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁদেরকে আমরা খুব খারাপ মনে করি কারণ তারা কথায় কথায় রাগ করেন, ঝগড়া করেন, অভিমান করেন।
কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা গেছে সিংহ ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্ত মানুষরা ভিতর থেকে অনেক বেশি সহজ সরল ও নিষ্পাপ হন। তাই স্থান কাল পাত্র বিচার না করেই তাঁরা অনেক সময় অপ্রিয় সত্য বলে ফেলেন বা ছোট ছোট কারনে রাগ অভিমান করে বসেন।



১৫. যে কাজে আপনি ভয় পান তা করলে আপনি প্রকৃত আনন্দ পান।
আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে এমন কোন না কোন কাজ নিশ্চয়ই থাকে যা করতে আমরা খুব একটা পছন্দ করি না, বা করতে ভয় পাই; এবং এর ফলস্বরূপ আমরা সেই কাজটি অবহেলিত করি।
কিন্তু মনস্তত্ত্ব বিজ্ঞানীরা বলেন এই কাজগুলি থেকে ভয় কাটাবার একটাই রাস্তা আর তা হলো তা সম্পন্ন করে জয় করা।
কথায় আছে ভয়কে করো জয়। আর এই জন্যই যখন এই ধরনের কাজ আমরা করি তা প্রকৃতপক্ষে আমাদের এক অনন্য পরিতৃপ্তি প্ৰদান করে।
১৬. ১৬ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব খুব মজবুত ও চিরস্থায়ী হয়।
আমাদের জীবনের দীর্ঘদিনের এই চলার পথে আমরা বহু মানুষের সান্নিধ্যে আসি। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রের সুবাদে অনেক মানুষই আমাদের খুব কাছের হন এবং এনাদের কেউ কেউ আমাদের বন্ধু হয়ে ওঠে।
তবে গবেষণায় জানা গেছে উপরিউক্ত সময়কালে মানুষের জীবনে পাতানো বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী ও মজবুত হয়।
এই বয়সে একজন সাধারণ মানুষের জীবনে বিদ্যালয়, কলেজ, চাকুরী জীবনের সূত্রপাত হয় এবং তাতে নানান ঘাত প্রতিঘাতে জীবন সমুদ্রের এক ভয়াবহ ঢেউ এর মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়।
তাই জীবনের দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া সেই সব বন্ধুদের অস্তিত্ব ও স্মৃতি চিরকাল অমলিন থেকে যায়।
১৭. অন্যদের সুখী মনে করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্ত।
আমরা সকলেই চাই জীবনে সুখী হতে। এক এক জনের কাছে সুখের সংজ্ঞা এক এক রকম। তবে আমরা যে ভুলটা করি সেটা হলো অন্যের জীবনের সাথে নিজের তুলনা।
কারোর বাহ্যিক অবস্থান দেখে খুব সহজেই তাকে আমাদের থেকে অনেক বেশি সুখী প্রতিপন্ন করি, কখনোই তার অভ্যন্তরীন জীবন সম্পর্কে কিছু না জেনেই।
হতেই পারে সত্যি তথাকথিত সুখী প্রতিপন্ন হওয়া ব্যক্তিটি মনে মনে খুবই অসুখী। তাই আমাদের উচিত কখনোই অন্যের সুখে ঈর্ষান্বিত না হওয়া, সর্বদা নিজের জীবন সুখময় করার লক্ষ্যেই এগিয়ে যাওয়া শ্রেয়।
এছাড়াও এমন বহু মনস্তাত্ত্বিক বিষয় আছে যা আমাদের জীবনে ধ্রুব সত্যের মত সর্বদা থেকে যায়, যার প্রভাব আমরা আমাদের জীবনের চলার পথে প্রতি পদে পদে অনুভব করতে থাকি। আমাদের চরিত্র গঠনে মানসিক চিন্তাধারা গভীর ভাবে ছাপ ফেলে।
১৮. ব্যর্থতাই সফলতার মূল চবিকাঠি। আমরা অনেকে হয়তো জীবনে কিছু লক্ষ্যপূরণে প্রথম বার সফল হই না।
অনেক পরিশ্রম ও অধ্যবসায় হয়তো কাঙ্খিত ফলাফল প্রদানে ব্যর্থ হয়। আর তা থেকে খুব সহজে হতাশ হয়ে আমরা ধরে নি সেই লক্ষ্য নির্বাচন হয়তো আমাদের জন্য সঠিক ছিল না।
কিন্তু এই ব্যর্থতার মধ্যেই প্রকৃত সফলতার চাবিকাঠি লুকিয়ে থাকে। তাই একেবারের প্রচেষ্টায় সফল না হলে হল ছেড়ে দেওয়া উচিত না।
মনস্তাত্ত্বিক বৈজ্ঞানিকদের মতে আজ বহু সফল প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি আছেন যাঁরা জীবনের প্রথম ধাপে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন, এবং বহু বার ব্যর্থ হয়েও সেই ব্যর্থতা থেকে নতুন শিক্ষা নিয়ে অবশেষে নিজেদের লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছেন।
বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী এলবার্ট আইনস্টাইন তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ।
১৯. গুনবান ব্যক্তি সর্বদা নিজেকে অসম্পূর্ণ মনে করেন আবার গুনহীন মানুষ নিজেকে মহান মনে করেন।
কথায় আছে অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী।
তাই অল্প জ্ঞানী মানুষ নিজেদেরকে সবজান্তা জনতা মনে করেন। অপর দিকে প্রকৃত শিক্ষিত ও গুনবান ব্যক্তি প্রতিনিয়িত নতুন জ্ঞানের খোঁজে নিজেকে উদ্ভাসিত করে চলেছেন
২০. কোনো অমূলক প্রশ্নের হাস্যকর উত্তর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় প্ৰদান করে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায়শই নানা ব্যক্তির থেকে বহু অমূলক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
আপনি হয়তো খেয়াল করে দেখবেন এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সর্বদা বাঞ্চনীয় নয়, আবার তা উপেক্ষা করা এক ঋণাত্মক ছাপ সৃষ্টি করে।
কোন প্রতিষ্ঠিত, সফল ব্যক্তিকে এই পরিস্থিতিতে বরাবরই পড়তে হয়। তাই সাধারণত তাঁরা কোন হাস্যকর জবাবে উত্তর দিয়ে প্রশ্নকর্তাকে যথাযথ শিক্ষা দেন।
কলমে – সুস্মিতা দত্ত